শিক্ষা

জমে উঠেছে রাকসু নির্বাচন প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ও শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটিসহ টানা ১৫ দিনের ছুটি শেষে আবারও জমে উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন। আবাসিক হল ও বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেসগুলোতে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। তবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগও রয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলগুলো বিরুদ্ধে। এদিকে প্রচারণার সময় বাড়িয়ে ১৪ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত করেছে নির্বাচন কমিশন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে পরিবহন মার্কেট, টুকিটাকি চত্বর, একাডেমিক ভবন সংলগ্ন চায়ের দোকান, আবাসিক হল ও ক্যাম্পাস সংলগ্ন মেস-সহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীরা প্রচারণা চালাচ্ছেন।

এবারের নির্বাচনে রাকসুর ২৩টি পদে লড়ছেন ২৪৭ প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ১৮, জিএস পদে ১৩ এবং এজিএস পদে ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে নারী ১১ হাজার ৩০৫ এবং পুরুষ ১৭ হাজার ৫৯৬। সিনেট নির্বাচনে প্রার্থী ৩০৬ জন এবং হল সংসদে ৬০০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রাকসুর ভোটার ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ফাহিম বলেন, রাকসু নির্বাচন ২৫ সেপ্টেম্বর হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ কমিশন পিছিয়ে আবার ১৬ অক্টোবর ডেট দেয়। ফলে রাকসুর আমেজে ভাটা পড়েছিল। এখন আবার পুরোদমে রাকসুর আমেজ ফিরে এসেছে মনে হচ্ছে। বিভাগের বাইরে, চায়ের দোকানে ও রুমে রুমে প্রার্থীরা যাচ্ছেন, প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা আবারও রাকসু উপভোগ করতে শুরু করেছে।

স্বতন্ত্র নারীবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী সামসাদ জাহান বলেন, রাকসু আবারও আগের মতো জমে উঠেছে। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে আসায় প্রচারণা চালাতে ভালো লাগছে। প্রতিটি ভোটারের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছি। সকলের থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি।

প্রচারকালে ছাত্রদল সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর বলেন, দীর্ঘ ছুটির পর আমরা আবার প্রচারণায় ফিরেছি। শিক্ষার্থীদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছি। তারা আমাদের কাছে অনেক দাবি জানাচ্ছেন, সেগুলো পূরণ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আমাদের অনেকগুলো টিম এখানে কাজ করছে। আশা করছি, এখানে ছাত্রদল চমৎকার ফলাফল দেশবাসীকে উপহার দিবে।

শিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলে ভিপি পদপ্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, রাকসু নির্বাচনের একটা উত্সবমুখর পরিবেশ ছিল, যা পোষ্যকোটা ইস্যু সামনে এনে নষ্ট করা হয়েছিল। এখন আবার সেই পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনি আমেজ বইছে চতুর্দিকে। আমরা সকলের কাছে দোয়া চাচ্ছি। আশা করি, শিক্ষার্থীরা যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নিবে।

সার্বিক বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এফ. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আবারও শিক্ষার্থীদের মাঝে উচ্ছ্বাস দেখতে পাচ্ছি। রাকসু নির্বাচন পেছানোর কারণে প্রচারণার সময় বাড়ানো হয়েছে। ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালাতে পারবে প্রার্থীরা। কয়েকবার নির্বাচন পেছানোর কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে প্রশাসন ক্যাম্পাসে যে অস্থিরতা ছিল, তার মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে অনেকগুলোরই সমাধান করেছে। নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত বাজেটের চেয়ে অতিরিক্ত বাজেট প্রয়োজন হবে, তাই প্রার্থীদেরও অতিরিক্ত খরচ লাগবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা ১৬ তারিখে নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিচ্ছি।

নিউজ টাইমস বিডি২৪ ডেস্ক :

Leave a Reply